জেরিন আহমেদ, মোস্তাফিজার বাবলু: মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো রপ্তানি হচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে চাষ করা হাইব্রিড জাতের মিষ্টিকুমড়া। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহ করছেন। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের ১৭টি জেলাতেও পাঠানো হয় এই সুস্বাদু সবজি। 

তিস্তা নদীবেষ্টিত গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক ও পূর্ব ইছলির চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ধু-ধু বালুচরে বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ। কয়েক বছর ধরে তিস্তার দুর্গম বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ করে আসছেন চান মিয়া, লিটন, মকসুদ, এনামুল এবং মজিবর রহমানসহ অনেকে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চরাঞ্চলের একসময়ের পতিত জমিগুলোতে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন তারা। 

ছালাপাক গ্রামের মজিবর রহমান এবার ৮০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। বীজ, সার, জমি তৈরি ও সেচ দেওয়াসহ তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে রপ্তানিকারকরা তার ক্ষেত থেকে ১৯ টাকা কেজি মূল্যে ২০ বস্তা মিষ্টি কুমড়া কিনে নিয়েছেন। ফলন কম হলেও চাহিদা বেশি হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। এতে তার ৫০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে বলে মনে করছেন।

চরাঞ্চলের ভূমিহীন ও কৃষিনির্ভর পরিবারের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী এবং বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা এমজেএসকেএস, পাম্পকিং প্লাস ও এমফোরসি। তারা কুমড়া চাষে উন্নত প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরী পরামর্শ ও উপকরণ সরবরাহ করে যাচ্ছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, আপাতত দুই দেশে মিষ্টি কুমড়া রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদাও পূরণ করে গঙ্গাচড়ার সরবরাহকারীরা। এতে করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। চরাঞ্চলে টেকসই ফসল উৎপাদনও সম্ভব হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব